বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আইন বিভাগ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে অন্যায়ভাবে ভীতি প্রদর্শন ও অপহরণের হুমকির প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ইজাজ রহমানের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানিয়ে দুষ্কৃতকারীদের বিচারের দাবি জানান।
আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল মণ্ডল বলেন, আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের সহযোগিতায় দুষ্কৃতিকারীদের যেন অতিদ্রুত বিচারের আওতায় আনা হয়। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী, সাংবাদিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।
আইন বিভাগের সভাপতি মানসুরা খানম বলেন, জিনিয়ার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অত্যন্ত দুঃখজনক। ইতিপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে লেখালেখি করেছে সেই জের হতে পারে অথবা অন্য কারণেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্যে আমরা চাই প্রশাসন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। এই ঘটনায় ইতোমধ্যে জিডি করা হয়েছে। যদি পুলিশ প্রশাসন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করে আমরা মামলা মোকদ্দমার দিকে যাব।
আইন অনুষদের ডিন ও প্রক্টর ড.রাজিউর রহমান বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র করে তার কলমকে থামিয়ে দেয়ার জন্যে চক্রান্তকারীরা হুমকি প্রদর্শন করেছে। এঘটনার নৈপথ্যে যারা আছে, তাদের শাস্তি কামনা করি।
তিনি আরও বলেন, চক্রান্তকারীদের হুঁশিয়ারি দিচ্ছি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর দিকে চোখ তুলে তাকাবেন না। কোনো শিক্ষার্থীর সাথে অন্যায়মূলক আচরণ করলে আমরা তার উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত সোয়া ৮টায় গোপালগঞ্জের ডিসি অফিস এবং পৌরসভার মাঝের প্রধান সড়কে দুজন ব্যক্তি বাইক নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে অপহরণের চেষ্টা করে আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে। তিনি ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সান এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি। ঘটনাটির পর গোপালগঞ্জ সদর থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ওই ছাত্রী।